Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এক নজরে


এমইও’র দপ্তরের কার্যাবলী

১। ভূমিকাঃ এমইও এর দপ্তর সমূহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রিত মাঠ পার্যায়ের অফিস। সারাদেশে ৩ (তিন)টি এম ই ও -এর দপ্তরের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্ব-স্ব সার্কেলের আওতাধীন এলাকায় চাহিদার আলোকে জমি অধিগ্রহণ, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও সামরিক জমি নিয়ে (নিম্ন ও উচ্চতর আদালতে) উদ্ভুত মামলা বিজ্ঞ সরকারী কৌশলী ও মাননীয় এটর্নী জেনারেল এর মাধ্যেমে পরিচালনা করা হয়। উল্লেখিত কার্য সম্পাদন কালে সি এল এ রুলস ১৯৩৭ ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রনীত নীতিমালা/দিক নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়।

২। কাজের বিবরণঃ এম ই ও অফিস কর্তৃক সি এল এ রুলস-১৯৩৭ এবং এ সি আর রুলস-১৯৪৪ এর আওতায় নিম্নোক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করা হয়ে থাকে।

(ক) জমি অধিগ্রহণ ও অধিগ্রহণকৃত জমির রেকর্ড সংরক্ষণঃ জমি অধিগ্রহণের মূল কাজটি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের এল, এ (ল্যান্ড একুইজিশান) শাখা কর্তৃক “১৯৮২ সালের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ” এবং “স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ম্যানুয়্যাল-১৯৯৭”-অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে এমইও’র দপ্তর উল্লেখিত আইনের আওতায় প্রত্যাশী সংস্থার দায়িত্ব পালন করে থাকে। ১৯৪৪ সালের এ সি আর রুলস-এর দ্বিতীয় অংশে (পার্ট-২) সামরিক বিভাগের (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহনের বিষয়ে এম ই ও’র দপ্তরের কার্যক্রম বর্ণিত আছে। উক্ত আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বাহিনী প্রধানের দপ্তর থেকে স্বয়ং সম্পূর্ণ  প্রস্তাব প্রাপ্তির পর এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাব করা হয়ে থাকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি/জেলা ভূমি বরাদ্দ কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি প্রেরিত হয়। অতঃপর উক্ত অনুমোদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের এল, এ শাখার চাহিদা অনুযায়ী অত্র দপ্তরের প্রতিনিধিগণ “ভূমি অধিগ্রহণ ম্যানুয়্যাল ১৯৯৭”-মোতাবেক যৌথ তদন্ত কাজ সম্পাদন করেন। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রণীত চুড়ান্ত প্রাক্কলনের অর্থ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর নিকট হতে সংগ্রহ পূর্বক সমুদয় অর্থ জেলা প্রশাসকের নিকট জমা করা হয়। অতঃপর অধিগ্রহণ কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন দপ্তর কর্তৃক অত্র দপ্তরের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত জমি সংশ্লিষ্ট বাহিনীর গ্যারিসন ইঞ্জিনিয়ারের দপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হয়ে থাকে। সেনাবাহিনীর চাহিদার প্রেক্ষিতে অধিগ্রহণকৃত জমি অফিসার্স পর্ষদের মাধ্যমে দখল হস্তান্তর/গ্রহণের জন্য সেনাসদর কর্তৃক একটি নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমি এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক এম এল আর (মিলিটারী ল্যান্ড রেজিষ্টার)-এ লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে জমির পরিমান, প্রশাসনিক অনুমোদন পত্র, পরিশোধিত অর্থ, গেজেট বিজ্ঞপ্তির নম্বর ও তারিখ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। একই সাথে উক্ত জমি জি, এল, আর (জেনারেল ল্যান্ড রেজিষ্টার)-এ লিপিবদ্ধ করা হয়। এতে উক্ত জমির সেনানিবাস সার্ভে নম্বর, সি, এল, এ-রুলস মোতাবেক জমির শ্রেণী (এ, বি, সি), ব্যবহারকারী সংস্থা/ইউনিটের নাম ও জমির মালিকানা ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। এতদ্ব্যতিত এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক উক্ত অধিগ্রহণকৃত জমি সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি)/তহশীল অফিসে প্রতিরক্ষা বিভাগের নামে নামজারী পূর্বক রেকর্ড সংশোধন ও উক্ত জমির খাজনা পরিশোধ করা হয়। এ ছাড়া সামরিক/প্রতিরক্ষা বিভাগের উক্ত জমি সময়ে সময়ে “ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর” কর্তৃক পরিচালিত জরিপে ব্যক্তিগত/প্রতিনিধির মাধ্যমে যোগাযোগপূর্বক উক্ত জমির খতিয়ান প্রতিরক্ষা বিভাগের নামে রেকর্ডভূক্ত করা হয়।

(খ) সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত কাজঃ এম ই ও’র নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকায় বিদ্যমান সেনানিবাস/সামরিক জমি সমূহের সীমানা সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সাথে প্রায়শঃই সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা হয়ে থাকে। এম ই ও’র দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ জরিপের মাধ্যমে এই সকল সমস্যা সমাধান করে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে এম ই ও’র দপ্তরের জরিপে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির মালিকগণ আপত্তি উত্থাপন করে থাকে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের এল, এ শাখার করকানুনগো/সার্ভেয়ারগণের সহায়তায় সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা হয়।

(গ) জি এল আর ও এম এল আর সংরক্ষণঃ সি এল এ এবং এসি আর রুলের বিধান মোতাবেক এম ই ও কর্তৃক জেনারেল ল্যান্ড রেজিষ্ট্রার (জিএলআর) এবং মিলিটারী ল্যান্ড রেজিষ্ট্রার (এমএলআর) প্রস্তুত ও রক্ষণাবেক্ষন করা হয়ে থাকে। জি এল আর এ জমির সার্ভে নং, শ্রেণী, ব্যবহারকারী ইউনিটের নাম, জমির মালিকানা ইত্যাদির উল্লেখ থাকে। সরকারী অনুমোদনে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা হলে তা জি এল আর এ লিপিবদ্ধ করা হয়। একইভাবে প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ, হস্তান্তর ও ক্রয় সূত্রে প্রাপ্তির পর তা এম এল আর-এ লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে। উক্ত রেজিষ্ট্রারে এল এ কেস নং, দাগ নং, জমির পরিমান, মঞ্জুরীকৃত টাকার পরিমান, গেজেট বিজ্ঞপ্তির নম্বর ও তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকে।

(ঘ)       মামলা পরিচালনা সংক্রান্ত কাজঃ এম ই ও’র আওতাধীন সেনানিবাস/সামরিক জমি নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা কর্তৃক উচ্চতর ও নিু আদালতে মামলা মোকদ্দমা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলা সমূহে সাধারণত প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়, সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তর সহ অত্র দপ্তরকে বিবাদী ভূক্ত করা হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে সামরিক কর্তৃপক্ষকেও বিবাদী করা হয়ে থাকে। বর্ণিত সকলের পক্ষ থেকে এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক মাননীয় এটর্নী জেনারেল/বিজ্ঞ সরকারী কৌশলীর কার্যালয়ের সহায়তায় মামলা পরিচালনা, স্বাক্ষ্য প্রদান, আরজির জবাব প্রস্তুত ও জমির মালিকানার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র আদালতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা বিভাগীয় সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে সামরিক বিভাগের পক্ষ থেকে এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক বাদী হয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে

(ঙ) অন্যান্য কাজঃ এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক বর্ণিত কার‌্যাবলী ছাড়াও প্রতিরক্ষা বিভাগের চাহিদা মোতাবেক বাড়ী ভাড়াকরণ, বাড়ী ভাড়া পরিশোধকরণ ও প্রতিরক্ষা বিভাগীয় জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এতদ্ব্যতীত সামরিক জমিতে বিদ্যমান গাছপালা ব্যবহারকারী সংস্থা/ইউনিটের চাহিদা মোতাবেক নিলাম/দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয় এবং তা অনুমোদনের জন্য (২০০/-টাকার উর্ধ্বে হলে) সামরিক ভূমি ও সেনানিবাস অধিদপ্তরের বরাবরে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্মাণ স্থানের গাছ ও ঝড়ে পড়া/মরা গাছ কর্তণ/অপসারণের প্রস্তাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে এম ই ও’র দপ্তর কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তা ছাড়া ডিওএইচএস-এর বরাদ্দকৃত প্লটের ইজারা দলিল সম্পাদন, সাইট নকশা প্রণয়ন ও প্লটের দখল হস্তান্তর কাজ সহ প্লট/ফ্ল্যাট হস্তান্তর/প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে। এতদব্যতীত সামরিক বিভাগ ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক সামরিক বিভাগীয় জমির নকশা, দাগসূচী ইত্যাদি প্রস্তুত ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে।